Logo
Logo
×

জাতীয়

কাস্টমসের এনামুলের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম

কাস্টমসের এনামুলের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : সংগৃহীত

দুদকের মামলায় সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন- আসামি সপরিবারে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশ চলে গেলে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত বা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুনানি শেষে আদালত আসামি এনামুল হকের বিদেশ যাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

প্রায় ১০ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এর আগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

এনামুলের ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ হাজার টাকার (দলিল মূল্য) তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহান টাওয়ারে কমন স্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ১৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কার পার্কিং, যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাঁচ কাঠা জমি, মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে ৪ হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস, যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গুলশানে আছে ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন আবেদনে উল্লেখ করেন, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার (আসামি) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে এ মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তার স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন