জানুয়ারির শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দেশের ১০ জেলা
যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
ফাইল ছবি
জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশেই তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ঠান্ডার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ১০টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা যায়।
বর্তমান আবহাওয়ার পরিস্থিতি: শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত।
এই অবস্থায় সারা দেশে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
যেসব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বইছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকায় এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। তবে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রোববার ও সোমবারের পূর্বাভাস-
রোববার (১২ জানুয়ারি):সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি): সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
পরবর্তী ৫ দিনের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৫ দিনে দেশের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।