অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সহজতর করতে কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, সরকার দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার জন্য কাজ করছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবমুখী সকল সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালের মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা একথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা থাকলে সরকার তা সমাধানের চেষ্টা করবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দামে বড় ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। এটার প্রকৃত কারণ জেনে আমরা সমাধান করতে চাই। বাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, অধিকাংশ পণ্যের দাম কমে এসেছে। চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে খুব শিগগিরই দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্য মজুত এখন ১২ লাখ টনের ওপরে। চলতি মাসেই মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আসবে। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ থেকেও জিটুজি ভিত্তিতে চাল সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। সরকার সিঙ্গেল সোর্স থেকে আমদানি নির্ভর না হয়ে বহুমুখী সোর্স থেকে চাল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, টিসিবির মাধ্যমে নিয়মিতভাবে স্বল্প আয়ের মানুষকে চাল দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে পঞ্চাশ হাজার পরিবার। এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম ওএমএস চালু রয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া মজুমদার এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রির আদিত্য মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে চাচ্ছে না। শতভাগ মার্জিনে এলসি খুলতে হচ্ছে। এতে আমদানিকারকরা চাল আমদানিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সময় তিনি এলসি মার্জিন কমিয়ে ডলার সরবারাহ নিশ্চিত করতে উপদেষ্টাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করতে সরকারকে পরামর্শ দেন বৈঠকে উপস্থিত চালের আরেক ব্যবসায়ী নাজির প্রধান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এলসি খোলার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যপণ্যে এলসি খোলায় কোনো রকম গাফিলতি হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রবাসী আয় বেড়েছে, এলসি খোলায় আর সমস্যা হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।