ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মনে করে যানজটপূর্ণ ঢাকা শহরে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পাতাল রেল নির্মাণ পরিকল্পনা একটি সময়োপযোগী ও উপযুক্ত পদক্ষেপ।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা জানান, বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ হবে ৩১.২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল লাইন এবং ১২টি পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন রয়েছে। এছাড়া নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল লাইন এবং ৭টি উড়াল ও ২টি পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন থাকবে পূর্বাচল রুটে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে।

তিনি আরও জানান, বিমানবন্দর রুটেই দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণ হচ্ছে। এমআরটি লাইন-১ এর কাজ মোট ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৮৮.৭১ একর ভূমিতে নির্মাণাধীন এমআরটি লাইন-১ এর ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ ইতোমধ্যে ৮৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। টানেল ও পাতাল স্টেশনগুলো নির্মাণের জন্য চারটি আন্ডারগ্রাউন্ড কন্ট্র্যাক্ট প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে দ্রুতগতিসম্পন্ন পাতাল রেল অনেক আগে নির্মিত হয়েছে এবং সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসীকে নির্বিঘ্নে পরিবহন সেবা দিয়ে আসছে। ঢাকার পাতাল রেল নির্মাণ কাজে উন্নত দেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই ঝুঁকি বা পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিমুক্ত ও পরিবেশসম্মত উপায়ে নির্মাণ কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।