Logo
Logo
×

জাতীয়

দুর্নীতি-সিন্ডিকেট

ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া মিলে না রাজউক ও গণপূর্ত সেবা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ পিএম

ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া মিলে না রাজউক ও গণপূর্ত সেবা

ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে সেবা প্রদান এখন এক প্রচলিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্লট বরাদ্দ থেকে শুরু করে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় এবং অন্যান্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি খুবই প্রকট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রমাণ পেয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) ছদ্মবেশে সেবা গ্রহীতা সেজে রাজউক ও গৃহায়ন অফিসে পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পায়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় রাজউকের প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় রাজউক কর্মচারীদের যোগসাজশে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপকদের নথি গায়েব ও বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রবাসী মালিকদের ছবি পালটিয়ে ভুয়া মালিক সাজিয়ে প্লট বিক্রয়ের অভিযোগেরও সত্যতা মিলেছে।

একই দিন অপর একটি টিম কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিল্ডিং নির্মাণ কোড না মেনে নকশা অনুমোদন, বিশাল অঙ্কের লেনদেনের বিনিময়ে অনুমোদনহীন ভবনকে নোটিশ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম তথ্য সংগ্রহ করে। এ অভিযানেও অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি গ্রামের ৩টি ব্রিজ ও ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদকের গোপালগঞ্জ অফিস।

সরেজমিন পরিদর্শন করে অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে একজন ভুক্তভোগীর বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে টিম নিশ্চিত হয়। ওই প্রকল্পে কাজ না করেই ৭৮ লাখ টাকার বিল উত্তোলনের প্রমাণও মিলেছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন