জানুয়ারিতে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নতুন বছরের শুরুতেই দেশের কিছু বিভাগে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবারের জানুয়ারিজুড়ে শীতের প্রকোপ বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে এক থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে, তবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, সিলেট বিভাগে বুধবার থেকে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল হয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে, যা প্রাথমিকভাবে শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশার ব্যাপ্তিও বাড়তে পারে। উত্তরের হিমেল হাওয়ার প্রভাবও বাড়বে, ফলে পুরো জানুয়ারি মাসে শীতের অনুভূতি বেশি থাকবে।
বিশাল এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। এছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।