ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে সমাবেশ করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের (ডিএমজে) ব্যানারে এ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন মেডিকেলের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
এ সময় ‘ঐক্য ঐক্য, চিকিৎসকদের ঐক্য’ ‘চিকিৎসকদের দাবি মানতে হবে, মেনে নাও’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাবি মোদের একটাই ৫০ হাজার ভাতা চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। নেতৃস্থানীয় প্রত্যেক জায়গায় আমরা গিয়েছি। সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আপনারা কি ডাক্তারদের অবদান অস্বীকার করতে পারবেন? চিকিৎসকরা রাস্তায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হাসপাতালে রাতদিন সেবা দিয়েছেন।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন এবি পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওয়াহাব মিনার। তিনি তার দলের পক্ষ থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনৈক্য থাকলে দাবি আদায় করা যাবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আগের আমলে আমরা ছিলাম রাজাকার, এখন হয়ে গেছি আওয়ামী লীগ। এগুলো তো আমরা বুঝি। চেয়ার পার্মানেন্ট না, পার্মানেন্ট হচ্ছে নৈতিকতা।’
এ সময় ডিএমজে সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী বলেন, ‘দাবি পূরণে যত বিলম্ব হবে, আমরা তত ঐক্যবদ্ধ হব, শক্তি সঞ্চয় করব। আমাদের চাপ দিয়ে লাভ নেই। তা না করে কীভাবে তাড়াতাড়ি প্রজ্ঞাপন দেবেন, সেটা নিয়ে ভাবেন। আমরা কারও দালাল নই।’
এর আগে এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক পারিতোষিক ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়। তবে এতেও নারাজ প্রশিক্ষণার্থীরা।
গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান সই এক প্রজ্ঞাপনে ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়।
ওইদিনই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তাদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এরপর ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।