নিম্নমানের কাগজে ছাপা হওয়ায় ৭ লাখ পাঠ্যবই বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ১১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এবার বইয়ের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। এটা বুঝতে পেরে এ বছর ১১৬টি প্রেসই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে। প্রায় ৪০ ভাগ টেন্ডারে একজনের বেশি টেন্ডার জমা দেয়নি।
এই সিন্ডিকেটের কারণে বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ থেকে ২০ শতাংশ। তবু অধিক মুনাফার লোভে রাতের আঁধারে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপাচ্ছে কিছু ছাপাখানা। এনসিটিবি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গত এক মাসে ছাপাখানাগুলো পরিদর্শনে গিয়ে নিম্নমানের কাগজে ছাপানো বই হাতেনাতে ধরেছেন।
কোনো ছাপাখানায় বইয়ের কাগজ নিম্নমানের। আবার কোনোটির বইয়ের বাইন্ডিং ঠিক নেই। কিছু ছাপাখানায় কাগজের বাস্টিং ফ্যাক্টর কম, বইয়ের সামনের ও পেছনের মলাট খুলে যাচ্ছে। এমন ৭ লক্ষাধিক নিম্নমানের পাঠ্যবই ও বইয়ের ফর্মা কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এনসিটিবির এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষে মানসম্মত বই দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার। প্রেসে-প্রেসে কাগজ ও ছাপা বই তদারকির জন্য তৃতীয় পক্ষের দুটি ইন্সপেকশন এজেন্সি নিয়োগ দিয়েছে তারা। এছাড়া বরাবরের মতোই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের ছাপার কার্যক্রম সরেজমিন তদারকি করতে এবার নতুন করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের আরো ১৫০ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা নিয়মিত সংযুক্ত মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বাস্তবিক অবস্থা, কাগজ সরবরাহ, টেস্টিং রিপোর্ট, ছাপার মান, প্রতিদিনের কর্মপরিকল্পনা, বই ছাপার অগ্রগতি ও সরবরাহ প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ফলে এবার নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪০ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১টি পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ চলছে। গতবারের চেয়ে এ বছর কাগজের পুরুত্ব ও উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বার্স্টিং ফ্যাক্টর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।