সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে এবং তিন দফা দাবিতে কাকরাইল এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জুবায়েরপন্থিরা।
জুবায়েরপন্থিরা জানিয়েছে, সাদপন্থিদের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ এবং তাবলিগের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে কোনো কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার কাকরাইল মসজিদের প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় জুবায়েরপন্থিরা, যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ‘শুরায়ে নিজাম’ হিসেবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন উত্তরার জামিয়াতুল মানহাল আল কওমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, “সাদপন্থিদের সমস্ত কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে, টঙ্গীতে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠসহ তাবলিগের সকল কার্যক্রম ‘শুরায়ে নিজামের’ অধীনে পরিচালনার নিশ্চয়তা দিতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা মাঠে অবস্থানরত তাবলিগ জামাতের সাথি ও মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর সাদপন্থিরা বিনা কারণে হামলা চালায়। এতে তিনজন সাথি নিহত এবং বহু সাথি ও ছাত্র-শিক্ষক আহত হন।”
জুবায়েরপন্থিরা আরও দাবি করেছে যে, সাদপন্থিদের কার্যক্রমে ভারত ও ইসরায়েলের মদদ রয়েছে। এর আগে, গত ৫ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জুবায়েরপন্থিরা সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করাসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেছিল।
গত সপ্তাহে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু অনুসারী আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, “টঙ্গী ইজতেমার প্রস্তুতি ও মাঠ পাহারার দায়িত্বে থাকা তাবলিগ সাথিদের ওপর সাদপন্থিরা রাম দা, কিরিচ এবং লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ নৃশংস ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”