বিএনপি’র সমমনা দল ও জোট ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি’র সমমনা দল ও জোট ২০২৫ সালের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে পৃথকভাবে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে মত দেন মিত্র দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তা করতে প্রস্তুত।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে জোট নেতাদের মতামত জানতে চায় বিএনপি। জোট ও দলের নেতারা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে হতে হবে। এসময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে অস্থিরতা বাড়বে এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করতে সক্ষম হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিবের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করেন নেতারা। তারা বলেন, সরকারের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গণে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সরকারের মধ্যে সমন্বয় থাকা উচিত এবং নির্বাচন ইস্যুকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া উচিত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ১২ দলীয় জোটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্পধারার নুরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, লেবার পার্টির লায়ন মো. ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও জাগপা রাশেদ প্রধান। এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ১১ টি দলের শীর্ষ নেতারা এবং মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বৈঠকে বলেন, দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। চক্রান্তকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এমন সময়ে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সবাইকে আরও কৌশলী ও সংযমী হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যে বিভক্তি আনা যাবে না। সরকারকে যৌক্তিক সময় দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে এবং আলোচনার টেবিলকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জনগণের সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করেছি। ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি এবং শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।