ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অব্যাহতি পেলেন মোশতাক
ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় এ অব্যাহতি দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।
খন্দকার মোশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিলো। বাদী সাইফুল ইসলাম পুনরায় নারাজি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। আদালত পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন একই সঙ্গে বাদী সাইফুল ইসলামের নারাজি দরখাস্ত নামঞ্জুর করেছেন। ফলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন।'
গত ১৪ মার্চ মামলাটিতে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুর ইসলামের নারাজি আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন নারাজির আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ২ জুন পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনেও খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। সেদিন মামলার বাদী নারাজি দরখাস্ত দেয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন জানান।
গত বছরের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিশার বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।
মামলায় মোশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। পরে মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। গত ৩ মার্চ চূড়ান্ত পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী।