১১তম ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে কায়রোতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ এএম
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কায়রোতে পৌঁছাবেন তিনি। এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের কয়েকটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেই প্রস্তুতিও চলছে।
কায়রোতে এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ডি-৮ কমিশনের ৪৮তম বৈঠকের মাধ্যমে ডি-৮ এর জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আগামী কয়েকদিন মূল আলোচনাগুলো হবে, যা ১৮ ডিসেম্বর ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের ২১তম অধিবেশন এবং ১৯ ডিসেম্বর বহুল প্রত্যাশিত ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হবে। এই বৈঠকগুলোতে নেতারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তৈরি করতে মিলিত হবেন।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
সম্মেলনে ড. ইউনূসের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকবেন।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্র অথবা সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য ডি -৮ সংস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়া ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য বর্তমান চেয়ার মিশরের কাছ থেকে ডি-৮ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।
ইন্দোনেশিয়ার ডি-৮ সংস্থার সভাপতিত্ব ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। বর্তমানে সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে মিশর।
কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো'স ইকোনমি’। সম্মেলনটি ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও এমএসএমই ইস্যুতে সংস্থাটির গুরুত্বকে তুলে ধরে।