বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, "রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ চেয়েছি আমরা। এ অবস্থায় তার অনুষ্ঠানে বিজয় উদযাপন করা গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি।"
বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সংগঠনটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা জাহিদ আহসানের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, "মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্তৃক বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতা-কর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না।
“মহান বিজয় দিবসের মত জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করে।"
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং সমন্বয়ক ইব্রাহিম নিরব সোমবার বেলা আড়াইটায় এক ফেইসবুক পোস্টে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ কার্ডের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “ফ্যাসিস্টের দালাল রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ চাই। তার হাতেও আমার ভাইদের তাজা রক্ত লেগে আছে। তার দাওয়াতে বঙ্গভবন যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিজয় দিবসে চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলাম।”
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে অক্টোবরের শেষ দিকে আন্দোলনে নেমেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।
সে সময় একদিন বঙ্গভবনের বাইরে দিনভর বিক্ষোভ চলে। তাতে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
তবে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়, সাংবিধানিক নয়’। আর সেজন্য বঙ্গভবনের বাইরে আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই।
বিএনপির পক্ষ থেকেও সে সময় বলা হয়, রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ নিয়ে নতুন করে কোনো সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হোক, তারা তা চান না।
এরপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবির বিষয়টি থিতিয়ে যায়।