Logo
Logo
×

জাতীয়

টানা কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম

টানা কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

টানা কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয় স্কিম’ চালুর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে চলছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতি। চলমান এ আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। একই পথে হেঁটেছে দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।

আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকেও কোনো প্রকার সেবা মিলছে না। চলমান এ কর্মবিরতির মধ্যেই সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে তাদের দাবি, জুলুম হিসেবে ‘প্রত্যয় স্কিম’ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই নীতি বাতিল করতে হবে।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কর্মচারীদের নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অবিলম্বে এই পেনশন নীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কিভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয় তা আমরা জানি। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাদের মত কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান। অবিলম্বে নতুন পেনশন নীতি বাতিল করুন।’   

গত ৩০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ-কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ওই দিন প্রশাসনিক ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বিরত ছিলেন শিক্ষকরা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন