টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। ফলে নৌপথে সেন্টমার্টিনে যেতে আপাতত কোনো বাধা নেই। এর আগে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে গত বুধবার সকালে ইউএনও কার্যালয় থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দুই দিনের মাথায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিগত সরকারের সময় থেকেই নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ আছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, এখনো নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন সেগুলো বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের কাছাকাছি না যায় সেজন্য বিশেষ সর্তকর্তা নেয়া হচ্ছে।
টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় যাত্রীবাহী নৌযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারির পর নাফ নদীতে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানো হয় বিশেষ ব্যবস্থায়। কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেদিন সেন্টমার্টিন যায় সাতটি পণ্যবাহী ট্রলার।
গত ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে যাওয়ার পর কয়েক দিন ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ আসেনি টেকনাফে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ওপার থেকে আবার গুলির শব্দ ভেসে এসেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেখানকার জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকার আর্মি (এএ)। তারপর নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে নৌ চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় এএ। এরপরই গত বুধবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
আরাকার আর্মি মিয়ানমারের মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বন্ধই ছিল ওপার থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের শব্দ। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।