নতুন বছরের শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নতুন বছরের শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে অনেক পরিবর্তন আসছে। বাদ দেয়া হচ্ছে আগের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয়, সেইসঙ্গে নতুন করে সংযোজন হচ্ছে অনেক বিষয়। বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে সাতটি গদ্য ও পদ্য বাদ দেয়া হচ্ছে। আর নতুন করে ৮টি গদ্য ও পদ্য যুক্ত হচ্ছে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনটি গদ্য, একটি পদ্য ও একটি জীবনী বাদ দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণির একটি বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী বাদ দিয়ে সেখানে জাতীয় চার নেতার জীবনী যোগ করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও বাদ দেয়া হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আগামী বছরের বইতে অতিবন্দনা, অতিকথন বাদ দেয়া হয়েছে। সে কারণে বইতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া আগে যাদের অবদান বই থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল, এমন অনেকের তথ্য যুক্ত হচ্ছে। বয়স উপযোগী করে অনেক লেখা সহজবোধ্য করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে নতুন পরিস্থিতিতে এগুলো যোগ করা হয়েছে। বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হচ্ছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য এবার মোট পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির বেশি। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বই বেশি হওয়ায় এবার মোট বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের এসব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে বছরের শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন পাঠ্যবই দেয়া এখনো নিশ্চিত নয়।
জানা গেছে, গত বছর থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। চলতি বছর পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। আগামী বছর অবশিষ্ট শ্রেণিগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই যাওয়ার কথা ছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ২০১২ সালে প্রণয়ন করা পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বই ছাপানোর উপযোগী করা হয়েছে।