উৎপাদনে ফিরলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কয়লা সংকটের কারণে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারো উৎপাদনে ফিরছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল থেকে উৎপাদনে ফিরেছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ৬৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ী বন্দরে পৌঁছায়। এসব কয়লা নামিয়ে উৎপাদন শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান।
বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়ে। একই দিন বুধবার বিকেল থেকে কয়লা খালাসের কার্যক্রম চলে। এছাড়াও রবিবার (১ ডিসেম্বর) ৬৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আরো একটি জাহাজ মাতারবাড়ীতে আসার কথা রয়েছে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, কয়লার চাহিদা পূরণ হওয়ায় শনিবার বিকেল থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে সক্ষম হই আমরা। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত কয়লা খালাস প্রক্রিয়া শেষের দিকে। আগামীকাল আরো একটি কয়লাবাহী জাহাজ বন্দরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা কয়লার এটি প্রথম চালান। কয়লা খালাস প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হওয়ায় শনিবার বিকেল থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হয়।
তিনি আরো জানান, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩১ অক্টোবর কয়লা সংকটের কারণে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুই ইউনিটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশনের মাধ্যমে কয়লা সরবরাহ আগের চুক্তি আগস্টে শেষ হয়। নতুন কয়লা কেনার দরপত্র আহবানে বিলম্ব হওয়ায় কয়লার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পর আবারো মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়া দেশের জন্য খুবই স্বস্তির। কারণ সরকার পরিবর্তনের পর অনেকটা অনিশ্চিত ছিল এই প্রকল্পের কাজ। নতুন করে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ যোগ হবে। সেই সঙ্গে কমে আসতে পারে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও।