৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি। ছবি : সংগৃহীত
নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ের ভেতরে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারণের দাবিও জানান তারা।
আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বাদিউল কবীর বলেন, দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
নয় দফা দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরিতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সব আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের আগে সব স্তরের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
পূর্বের ন্যায় ১০০ শতাংশ পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।
তারা আরও দাবি করেন, চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ, সচিবালয় কর্মচারীদের তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি করতে হবে।
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ।