ছবি: সংগৃহীত
পেশায় রেস্তোরাঁর কর্মচারী মজিবুর রহমানে এবং এক নারীর নামে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে নীলিমা নীল অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।
সেই প্রতিষ্ঠানের নামে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের (এস আলম) মালিকানায় থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখা থেকে নেয়া হয় ১২ কোটি টাকার ঋণ। তবে তার নামে ঋণ নেয়ার কথা জানতেন না দাবি করেন মজিবুর। ঋণের টাকা চেয়ে ব্যাংক নোটিশ দিলে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলা করেছেন মজিবুর। এতে আসামি করা হয় এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, তার ব্যক্তিগত সহকারী এস এম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও মো. ওসমানকে।
বাদীর আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মজিবুর রহমান ও ওয়াসিয়া আক্তারের নামে নীলিমা নীল অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির নামে ১২ কোটি টাকার ঋণ ইস্যু করা হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের সেই টাকার জন্য তাগাদা দিলে বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন মজিবুর রহমান। ২০২৩ সালে বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ডাক বিভাগের মাধ্যমে দেয়া নোটিশ গ্রহণ করেননি তিনি। কারণ, ব্যাংকের সঙ্গে তার কোনো লেনদেন নেই। পরে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নোটিশটি গ্রহণ করে ব্যাংককে লিখিতভাবে জানান, তিনি কোনো ঋণ নেননি।
জানতে চাইলে মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন, আমার নামে ওই ব্যাংকে কোনো হিসাব নেই। ঋণ নেয়া দূরের কথা। যেই নারীর নাম যুক্ত হিসাবে লেখা হয়েছে, তাকেও চিনি না। ওই নারীও ব্যাংক হিসাব ও ঋণের বিষয়ে কিছু জানেন না।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক নগরের চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ নিয়ে অনেকেই পরিশোধের সময় বলেন তারা ঋণ নেননি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে।