শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
সাবেক প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার। সব পলাতক আসামিকে বিচারের মুখোমুখি করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ অভিযোগটি কোনোভাবেই আমলে নিচ্ছে না সরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
আসিফ নজরুল বলেন, এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লেখে জানানো। এটা পৃথিবীর যে কোনো মানুষ করতে পারে। এটা এতই একটা অবিশ্বাস্য ও বস্তুনিষ্টহীনতামূলক মামলা কোনোভাবেই এটার রিট হওয়ার কোনো কারণ নাই। ফ্যাসিস্টচক্র বিশ্ব জনমতকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা প্রচারণার চালানোর উপায় হিসেবে এ মামলাটা করেছে।
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো দলের বিচারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করিনি। যদিও আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা যে তদন্তগুলো করছি, সব জায়গায় আওয়ামী লীগের যুক্ত থাকার বিষয়টি পাচ্ছি। যেমন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়-প্রেসিডিয়াম, যুবলীগ-ছাত্রলীগের যে কেন্দ্রীয় কমিটি আছে তাদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ আমরা ক্রমাগত পাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি আমলাসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষ পর্যায়ের কমপক্ষে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।