Logo
Logo
×

জাতীয়

চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। তাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে দেখা দরকার বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। একই স‌ঙ্গে রো‌হিঙ্গা প্রত্যাবাস‌নে চী‌নের আরো সক্রিয় ভূমিকা চায় বাংলা‌দেশ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ সহায়তায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না রিলেশন্স: আ ফিউচার আউটলুক’ সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিভিন্নমুখি এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা, জ্বালানি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে তিনি জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও অন্যরা সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ধরনের উদ্যোগ কোনও ফল বয়ে আনেনি। আমি মনে করি মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব আছে এবং এটি বাস্তবতা। চীন যেন এ বিষয়ে আরও বেশি ভূমিকা রাখে, যাতে রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে পারে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তাসহ।’

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের মাধ্যমে চীনে রফতানি বাড়ানো সম্ভব হলে আমাদের জন্য ভালো হবে। চীনের সহায়তায় কিছু প্রকল্প চলমান আছে এবং আমরা আশা করি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব রাখবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীনের সরকার নিশ্চিত যে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে এবং সমস্যা উত্তরণে নেতৃত্ব দেবে। নতুন সরকার স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দ্রুত অগ্রসর হবে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের সময়ে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ চীন থেকে এসেছে। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাণিজ্য ঘাটতি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও আমাদের দেখতে হবে অশুল্ক বাধা আছে কি না এবং বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় ধীরগতি আছে কিনা।’

উদ্বোধনী ইস্যুতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এফ এম গওসুল আজম সরকার এবং মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস, সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রফেসর ইয়াং জেইমিয়ান বক্তব্য দেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন