ফাইল ছবি
দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী রবিবার (১৩ অক্টোবর)। এই দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব। দেবী দুর্গাকে বিদায় দিয়ে এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর। শাস্ত্রীয়ভাবে দুর্গাপূজা শনিবারই শেষ। তবে প্রতিমা বিসর্জন, সিঁদুর খেলাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে রবিবার।
গত শনিবার দুর্গোৎসবের মহানবমী তিথিতে বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তবে বিসর্জনের ক্ষণ এগিয়ে আসায় ছিল বিদায়ের সুরও।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
মহালয়ার মধ্য দিয়ে ২ অক্টোবর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। ওইদিন থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এরপর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল, রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই আয়োজন।
মধ্যে বৃহস্পতিবার নবপত্রিকায় প্রবেশ ও স্থাপনে হয় মহাসপ্তমী। পরদিন শুক্রবার সকালে কুমারী পূজার পাশাপাশি মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা এবং সন্ধিপূজা হয়।
এদিকে বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। দশমীর শোভাযাত্রা ও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইমসিন টিম ও সোয়াত টিম।
রাজধানীতে বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হলো ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-গুলিস্তান-নবাবপুর লেভেল ক্রসিং-নবাবপুর রোড-মানসী হল ক্রসিং-রথখোলার মোড়-রায়সাহেব বাজার মোড়-শাঁখারিবাজার-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-সদরঘাট বাটা ক্রসিং-পাটুয়াটুলি মোড়/সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাট গিয়ে শেষ হবে।