ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে যা বললেন আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে যে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেয়ার অনুরোধ রইল। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে আজকে কয়েকজন উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। অভ্যন্তরীণভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।
দেশ সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। নানাভাবে পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গত বৃহস্পতিবার দিনভর সংঘর্ষ চলে। সেদিন বিকাল ৪টার দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তাতে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটর সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার কাটা পড়ে।
এর ফলে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬টি টাওয়ার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জানিয়ে ব্যাখ্যায় বলা হয়, জেলায় রবির দেড়শর মতো টাওয়ার থাকলেও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলমান থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সেসব টাওয়ার মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এরপর শুক্রবার রবি সেখানে ১৪টি টাওয়ার সচল করতে পেরেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বাকি দুই টাওয়ার এখনো মেরামত করা যায়নি বলে এতে বলা হয়।
বিটিআরসি বলছে, খাগড়াছড়িতে টেলিটকের ৭২টি টাওয়ার রয়েছে। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৩টি এবং অন্যান্য কারণে সেখানকার আরো ৬টি টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এসব টাওয়ার সচলে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।