প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা এই প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জার্মান নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বলেছেন, তিনি প্রায়শই বার্লিন প্রাচীর পতনের বার্ষিকীতে যোগ দিতেন। অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশে আরো জার্মান বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দক্ষতা ও প্রযুক্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনাকারী ছাত্র ও তরুণদের পেছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখন আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগে যে কোনো বাধা দূর করতে আগ্রহী। তিনি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিবর্তনের জন্য আরও ব্যক্তিগত জার্মান তহবিল চেয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশের ফার্ম মিলে গ্রিন করিডর তৈরি করতে পারে।
এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জ্যান জানোস্কি উপস্থিত ছিলেন।