প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

"স্বৈরাচারী শাসন কর্তৃক কেড়ে নেওয়া ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে", তিনি বলেন।

প্রফেসর ইউনূস সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে (ঢাকা সময়) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সাথে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় এই মন্তব্য করেন।

প্রায় আধা ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং তরুণ বাংলাদেশী রাজনৈতিক কর্মী শরীফ ওসমান হাদীর হত্যাকাণ্ডের উপর আলোকপাত করা হয়।

ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূসকে তার নেতৃত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ বাংলাদেশী পণ্যের উপর মার্কিন পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে কমিয়ে আনতে সফল হয়েছে।

মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ ওসমান হাদীর বিশাল জানাজা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করছে এবং তাদের পলাতক নেতা সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, তিনি বলেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় "সম্পূর্ণ প্রস্তুত"।

"নির্বাচনের আগে আমাদের কাছে প্রায় ৫০ দিন সময় আছে। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই। আমরা এটিকে উল্লেখযোগ্য করে তুলতে চাই," অধ্যাপক ইউনূস বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি সমন্বয়কারী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ ফোনালাপের সময় উপস্থিত ছিলেন।