অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এ বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে মূল্যস্ফীতি, মজুরি প্রবৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, চলতি হিসাব, প্রবাসী আয়, আমদানি ও ঋণপত্র খোলাসহ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিয়ে আলোচনা হয়।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর ২০২৫-এ সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮.২৯ শতাংশে, যা জুন ২০২৩-এর পর প্রথমবার ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কৃচ্ছসাধনের ফলে জুন ২০২৬ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মজুরি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে পার্থক্য কমে আসায় প্রকৃত আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নভেম্বর ২০২৫-এ মজুরি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮.০৪ শতাংশে।
কৃষি খাতে প্রণোদনা ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বোরো ও আমন মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে ১৬০.৯৫ লাখ টন, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩২.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগস্ট ২০২৪-এ ছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন। প্রবাসী আয়ও বেড়েছে ১৭ শতাংশের বেশি। জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৫ লাখ কর্মীর বৈদেশিক নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে।
চলতি হিসাবের ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে মাত্র -১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আমদানি প্রবৃদ্ধি ও ঋণপত্র খোলার হারও বেড়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলার প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৭.৭ শতাংশে এবং শিল্পজাত কাঁচামালের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০.৯৮ শতাংশ।
বৈঠকে বলা হয়, এসব সূচক দেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছে এবং আগামীতে আরও উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।



