ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা, ছয়জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ এএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান। তিনি জানান, গুলির ঘটনায় হাদির এক আত্মীয় বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া। মামলার নম্বর জানতে চাইলে এএসআই বলেন, এটি সেনসিটিভ মামলা হওয়ায় নম্বর তার জানা নেই।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, বর্ডার দিয়ে মানুষ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য এবং অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও আরও এক নারী।
শরিফ ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং অভ্যুত্থান-অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র। তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছিলেন তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন; চিকিৎসকদের মতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এই অবস্থায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
হামলাকারী দুই আততায়ীর একজন সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম, যিনি সম্প্রতি হাদির নির্বাচনী প্রচারে যুক্ত ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। পুলিশও তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে নাগরিকদের কাছে তথ্য চেয়েছে। ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার নেতা ছিলেন।



