জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাতদের লাশ শনাক্তে সিআইডির ফরেনসিক কার্যক্রম শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্তে অবশেষে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর রোববার থেকে রাজধানীতে এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সকালে মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাত লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। প্রতিষ্ঠানটির সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে একাধিক অজ্ঞাত লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও একইভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা ও লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরই এই বৃহৎ ফরেনসিক উদ্যোগের লক্ষ্য।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ জানান, অজ্ঞাতনামা নিহতদের দ্রুত শনাক্তে দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি লাশ থেকে সতর্কতার সঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে প্রোফাইল তৈরি করা হবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এসব প্রোফাইল মিলিয়ে দেখা হবে।
এই তদন্তে সিআইডির সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিআইডি সূত্র আরও জানায়, জুলাইয়ের আন্দোলনকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এসব লাশের পরিচয় শনাক্তে বৃহৎ পরিসরের কাজ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
লাশ শনাক্তের এই উদ্যোগে দীর্ঘদিন নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। শীঘ্রই সিআইডি ডিএনএ নমুনা জমা দেওয়ার জন্য একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করবে, যাতে পরিবারগুলো দ্রুত নমুনা জমা দিয়ে তাদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন।



