সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ
গত ২৩ মে বেনজীরের ৮৩টি দলিল জব্দ ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে ২৬ মে স্ত্রীর নামে ১১৯টি দলিল ও গুলশানে একদিনেই কেনা চারটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ আসে। ফ্রিজ করা হয় ২৩টি কোম্পানির শেয়ার। এসব সম্পদের উৎস জানতে ছয় জুন তাকে তলব করে দুদক।
কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বৃহস্পতিবার হাজির হচ্ছেন না পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। দুদকে হাজির হওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন তিনি।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।
তিনি বলেন, আমি সঠিকভাবে জানি না। তবে, শুনতে পেরেছি, তিনি (বেনজীর) সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। যদিও এটা অনুসন্ধান টিমের বিষয় নয়, এটা তাদের বিষয়। তারা ভালো জানবেন। কারণ এ বিষয়টি কমিশন পর্যন্ত আসে না।
দুদকের অুনসন্ধান শুরুর আগেই দেশ ছেড়েছেন বেনজীর। তাই তিনি দুদকের তলবে হাজির হবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছিলো।
সম্প্রতি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে একটি পত্রিকার সংবাদে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা কেউই দেশে নেই। যদিও দুদক তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
দুদক গত ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
গত ২১ এপ্রিল প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকে আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।