জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা, চেকপোস্ট এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ—এই তিন ভাগে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রথম দিন থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, অপতথ্য প্রতিরোধ ও ডিজিটাল পরিবেশ সুরক্ষায় সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি সেগুলো দ্রুত উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের ওপর বিশেষ নজরদারি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা বা প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেওয়া যাবে না—এ নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

এ সময় তিনি জানান, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে বা কীভাবে মোতায়েন হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএমপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই, র‍্যাব এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।