শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে উল্লাস-মিষ্টি বিতরণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে বহুল আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ছয় অধ্যায়ে বিভক্ত ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদও রায়ের বিভিন্ন অংশ পড়ে শোনান।
রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে আইনজীবীদের পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতদের কয়েকজন পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য দুটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ ছিল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা। মামলায় তার সঙ্গে আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়—
- উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান
- হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ
- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যায় সম্পৃক্ততা
- রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা
- আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা
মামলায় আন্দোলনকারীদের অংশগ্রহণকারী, আহত ব্যক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া শেখ হাসিনার কথোপকথনের অডিও-ভিডিও, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও জব্দ করা গুলি প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
গত ১২ অক্টোবর যুক্তি-তর্ক শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর শেষ হয়। ওইদিন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।



