ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যে সুপারিশ দিলো
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ জমা দেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশন দুইটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, দুইটি প্রস্তাবের অধিকাংশ বিষয় একই। দুই সুপারিশে জুলাই জাতীয় সনদে সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি; এরপর সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য গণভোট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া আগামী সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো এ সময়ের মধ্যে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে। ঐকমত্য কমিশন এ সুপারিশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুই প্রস্তাবের পার্থক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার চাইলে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বিল আকারে গণভোটে দিতে পারে অথবা জুলাই সনদ আকারে দিতে পারে। যে সময় আছে তাতে বিল আকারে দেওয়া সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ জানান, গণভোটের সময় নিয়ে ঐকমত্য কমিশন সরকারকে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় সীমার প্রস্তাব দেয়নি। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো সময় গণভোট করার সুপারিশ করেছে কমিশন।



