শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে এখনো ধোঁয়া উড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ রোববার সকাল পর্যন্ত সেখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজের সামনে আজ সকালে উদ্বেগে ভিড় করেন কর্মচারীরা। তাঁদের অনেকেই বলেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে, মনে হচ্ছে আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো কার্গো ভিলেজটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কার্গো ভিলেজ এলাকায় এখনো কঠোর নিরাপত্তা জারি রয়েছে। গেট দিয়ে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এখনো ভেতরে তল্লাশি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ কাজ চালাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। এখন শুধু র্যাম্পিং ডাউনের কাজ চলছে—অর্থাৎ অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরিয়ে আনা ও ভেতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, কার্গো ভিলেজে পুনরায় আগুন ধরতে পারে এমন কোনো উপাদান আছে কি না, তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন কমপ্লেক্সের পুরো অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকে, ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে রাত সোয়া ৯টার দিকে।
আগুন নেভাতে গিয়ে ২২ জন আহত হয়েছেন। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি, তবে আমদানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে এ ধরনের বৃহৎ অগ্নিকাণ্ডকে অনেকেই ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন—বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক ফায়ার ইউনিট থাকার পরও আগুন এত দ্রুত কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল?
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে,অগ্নিকাণ্ডে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাত সদস্যের ও কাস্টমস পাঁচ সদস্যের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।



