Logo
Logo
×

জাতীয়

সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য!

Icon

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম

সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য!

ছবি : সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা তিন মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানায় নাম আসা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার সম্পর্কে তার পরিচিতিজনরা ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। যেসব অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে তার সঙ্গে তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার কতটা জড়িত সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার সেনানিবাসের বাইরে সবশেষ র‍্যাব ও ডিজিএফআইতে দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে র‍্যাবে থাকার সময় জলদস্যু মুক্ত সুন্দরবন, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান ও টেকনাফে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ওসি প্রদীপকে বিচারের আওতায় আনতে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল তার।

সেনাবাহিনীতে এবং বাইরের কর্মস্থলে তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই বলছেন, একজন সৎ এবং মানবিক অফিসার হিসেবে খ্যাতি ছিল তার। প্রেষণে থাকা অবস্থায় তিনি পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছিলেন। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেয়নি।

বর্তমান সেনা হেফাজতে থাকা ১৫ জনের মধ্যে তার নাম দেখে পরিচিত অনেকেই চমকে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে অনেকেই লিখেছেন, ছাত্র জীবন থেকে মেধাবী ও পরে সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার পেশাগত দক্ষতা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

তিনি যখন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তখনই কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় আসামি ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার এবং প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ারের।

তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা নাখোস হলেও সত্য উন্মোচনে তিনি ওই সময় নির্ভীক ভূমিকা রেখেছিলেন বলেই তার তৎকালীন সহকর্মী ও পরিচিতরা বলছেন। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সন্তান তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার। এলাকায় তাদের পরিবার সম্ভ্রান্ত। স্থানীয়রা তাকে অত্যন্ত অমায়িক ও সৎ নির্ভীক সেনা অফিসার হিসেবেই চেনেন।

এছাড়া জীবনের কোন পর্যায়ে তিনি ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। ফেসবুকে তার নামে একটি লেখা ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি বলেছেন, আমি কোন মানুষের ক্ষতি করিনি, ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি, সেহেতু আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি পরীক্ষা হিসেবে আমি মনে করছিঅনেক মহমানুষকে আল্লাহ পরীক্ষা করে থাকেন। , আমার মত একজন সাধারণ পাপী বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা এই পরীক্ষায় ফেলে জগত এবং মানুষকে নতুনভাবে চেনার সুযোগ দিয়েছেনযদি মনে করে থাকো, আমি এধরনের কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়, তাহলে আমার জন্য দোয়া করবে, যেন সসম্মানের সাথে তোমাদের মধ্যে ফেরত আসি

তিনি আরও বলেছেন, যদি কেউ কোন তথ্য কিংবা প্রমাণ পেয়ে থাকো আমিধরনের কোন অপরাধের সাথে জড়িত, তাহলেও আমার যেন শাস্তি হয়আমি দোয়া করি মিডিয়া প্রেশার, মিডিয়া জাস্টিস, প্রতিহিংসা ইত্যাদির ক্রোধানলে যেন কোন নিরপরাধ মানুষের শাস্তি না হয়এতে জুলাই শহিদের রক্তের সাথে বেইমানি হবেইনশাআল্লাহ সুবিচার হবেশুধুমাত্র দোষীরা শাস্তি পাবে

এদিকে ট্রাইবুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর যে ১৫ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে

আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে জানা যায়, সরকার যদি কোনো বাড়িকে সাবজেল বা উপকারাগার ঘোষণা করে, সেখানে মামলার আসামি রাখতে পারেন। এমন নজির এর আগেও রয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে এক-এগারোর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পর সংসদ ভবন এলাকায় দুটি বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে সেখানে তাঁদের রাখা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তিন মামলায় গত বুধবার সেনাবাহিনীর ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। একসঙ্গে এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দেশে এর আগে ঘটেনি।

তাঁদের মধ্যে ১৫ জন এখনো চাকরিতে আছেন। একজন এলপিআরে (অবসরোত্তর ছুটিতে) আছেন। তাঁদের আদালতে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব আছে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়ে গেছে। একজন আত্মগোপনে চলে গেছেন। তিনি হলেন মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। ডিজিএফআইয়ে সাবেক এই পরিচালক সর্বশেষ সিলেটে সেনাবাহিনীর স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসে (এসআইঅ্যান্ডটি) কমান্ড্যান্ট পদে ছিলেন। এর আগে তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব ছিলেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন