ডাকসু নির্বাচনে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল ঢাবি প্রশাসন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্ভূত বিতর্কের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মূল ভেন্ডরের অধীনে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ ব্যবহার করে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান শেষে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সিলগালা করে সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালট প্রচলিত নিয়মে নষ্ট করা হয়। ভেন্ডর স্বীকার করেছে, ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে ভুল হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ভোটার ও প্রার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দ্রুত ব্যালট প্রস্তুতের জন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হয়। ব্যালট ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে না, কারণ ব্যালট ব্যবহারের আগে কাটিং, সুরক্ষা কোড, ওএমআর প্রি-স্ক্যান, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষরসহ একাধিক ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।
তিনি আরও জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, প্রতিজনের জন্য ৬টি ব্যালট। ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন, ব্যবহৃত ব্যালট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি, অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮টি।
সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখানোর দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কোনো প্রার্থী নির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার পর্যালোচনার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে মনোনীত বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকবে। একইভাবে, নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে ভোটার তালিকার স্বাক্ষর দেখতে চাইলে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন করে তা দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, নির্বাচন পরিচালনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে।



