শ্রম সংস্কারে রাজনৈতিক নেতাদের ঐকমত্য, টেকসই প্রবৃদ্ধির অঙ্গীকার জাতিসংঘ আলোচনায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার এবং দেশে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টাকে ঘিরে কূটনীতিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও শ্রম সংস্কার এগিয়ে নিতে ঐকমত্য ব্যক্ত করেন নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নৈশভোজভিত্তিক এই আলোচনার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৃহৎ পরিসরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় আইএলও মহাপরিচালক এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক অবস্থানের ওপর শ্রম সংস্কারের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি। যেকোনো ভবিষ্যৎ সরকারকে এই খাতের প্রবৃদ্ধি ও টেকসইতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেন।
জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জামায়াতের বহু নেতাকর্মীর সরাসরি অভিজ্ঞতা রয়েছে পোশাক শিল্পে। এই অভিজ্ঞতা খাতটিকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। নির্বাচিত হলে সংস্কার এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বর্তমান উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এগুলো কেবল অব্যাহত রাখা নয়, ভবিষ্যৎ প্রশাসনের অধীনে আরও সম্প্রসারিত হওয়া দরকার।
এনসিপি সিনিয়র নেত্রী ড. তাসনিম জারা তার রাজনৈতিক যাত্রার একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত হিসেবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অভিজ্ঞতা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, একজন মেডিকেল ছাত্রী হিসেবে আহতদের সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে অনিরাপদ শ্রম অনুশীলনের মানবিক মূল্য উপলব্ধি করিয়েছে।
আলোচনার সমাপনীতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, অর্থবহ ও স্থায়ী শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।



