দুর্নীতি প্রতিরোধে পাঁচ বছরের সমঝোতা স্মারকে দুদক-টিআইবি একত্রে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পঞ্চমবারের মতো পাঁচ বছরের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদক কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। টিআইবির সহযোগিতায় দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “২০১৫ সাল থেকে দুদকের সঙ্গে আমাদের কার্যকর সম্পর্ক রয়েছে। এবারের চুক্তিতে যৌথ গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সচেতন নাগরিক কমিটির কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দুদকের ওয়াচডগ এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করি। ঘাটতি চিহ্নিত করে পরামর্শ দিই এবং দুদকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করি।”
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, “টিআইবির সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের ১০ বছর পূর্তি হলো। এবার পাঁচ বছরের জন্য নতুন চুক্তি করেছি। আমাদের লক্ষ্য এক—বাংলাদেশের কল্যাণ।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এবারই প্রথম সরকার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান স্বীকার করেছে, যা সত্যের কাছাকাছি।”
অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দুদক যদি নিজে দুর্নীতিমুক্ত না থাকে, তবে অন্যদের বলার নৈতিক অধিকার থাকে না। তাই আমরা নিজেদের ঘর থেকেই দুর্নীতি রোধে কাজ করছি।”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক জানান, দুদক সংস্কার কমিশনের ৪৭টি সুপারিশের প্রায় সবই রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণ করেছে। কিছু সুপারিশের বাস্তবায়ন এখন সরকারের হাতে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব বাস্তবায়িত হলে দুদক একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে।
দুদক চেয়ারম্যান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক একমত হন, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই দুর্নীতি প্রতিরোধে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব হবে।



