সাবেক তিন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক তিন প্রধান বিচারপতিসহ ৭ বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা দায়ের করেন।
সাবেক তিন প্রধান বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। অন্য চার বিচারপতি হলেন, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।
মামলায় বলা হয়েছে, তারা সবাই ক্ষমতা অপব্যহার করে আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূত অসাংবিধানিকভাবে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ লঙ্ঘন করে কোনো শুনানির সুযোগ না দিয়ে আদালত অবমাননার নামে মো. ইউনুস আলী আকন্দকে শাস্তি দেন। প্রথমে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সুযোগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। তারপর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিন মাস প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ জরিমানা করা হয়।
অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী বলেন, আদালত অবমাননা হলে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ এর ৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে হাইকোর্ট শাস্তি দিতে পারে, কিন্তু আপিল দ্বারা নয়। বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে পেশা সাসপেন্ড করতে পারে কিন্তু আপিল দ্বারা নয়।
তিনি বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি মামলা করা যায়। কিন্তু সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগে সরাসরি মামলা করা যায় এবং ১০৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল হয়। সংবিধানের ১০৪, ১০৮ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগে সরাসরি মামলা করা যায় না। হাইকোর্টের আদালত অবমাননা রায়ের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ১০৩ (২) (গ) অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল হয়।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান ১০৪ অনুচ্ছেদে বিচারাধীন আপিলে সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের জন্য যেরুপ প্রয়োজন সেইরুপ আদেশ দিতে পারবে, কিন্তু সরাসরি কোনো মামলায় নয়। সরাসরি আপিল বিভাগে আপিল হয়। উক্ত বিচারাপতিগণ ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে শপথ ভঙ্গ করে আমাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তবর্তী আদেশ দিয়ে প্রাকটিস ডিবার্ড করে, যা সংবিধান ১১ অনুচ্ছেদে মানবাধিকার লঙ্ঘন। আপিল বিভাগে ওই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার খর্ব করে।