রাজধানীতে ছিনতাই বেড়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১০ জন গ্রেফতার করছে পুলিশ
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজধানীজুড়ে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়েছে। এতে নগরবাসী অনিরাপত্তায় ভুগছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হলেও ছিনতাইয়ের হার কমছে না।
ডিএমপির তথ্যমতে, গত কয়েক মাসে কয়েক শ’ ছিনতাইকারী পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবুও ছিনতাইকারীরা জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, গাবতলী, সদরঘাট, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, ফার্মগেট, লালমাটিয়া, মগবাজার, হাতিরঝিল, গুলশান, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, শাহবাগ, উত্তরা, মুগদা, বনশ্রী, হাজারীবাগ, লালবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হরহামেশাই ছিনতাই হচ্ছে। অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ না করায় পুলিশের খাতায় সঠিক পরিসংখ্যান উঠে আসছে না।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, মগবাজার, হাতিরঝিল ও বসিলা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা আলোচনায় এসেছে। দিন-রাত নির্বিশেষে পথচারীদের কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস চাপাতি দেখিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। এ ধরনের কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের ধরে গণপিটুনিও দিয়েছে, যাতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও কামরাঙ্গীরচরে সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ে প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। যেমন— ২৬ জুলাই মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন যুবক রাব্বি সুমন। একইভাবে ১১ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীরচরে রিকশাচালক আকরাম হোসেন ছিনতাইকারীদের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীতে ছিনতাই প্রতিরোধে নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দাদের তৈরি তালিকা ধরে থানাভিত্তিক অভিযান চলছে। তবে নতুন কোনো তালিকা করা হয়নি। তার ভাষ্যে, ঢাকায় ছিনতাই প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত কাজ করছে পুলিশ। তালিকা ধরে গ্রেফতার চলছে, তবে অপরাধীদের জামিনে বের হয়ে আসাই বড় চ্যালেঞ্জ।
গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সংঘটিত ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে নতুন করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, এ কাজে নগরবাসীর সহযোগিতাও জরুরি।



