বেক্সিমকো, বসুন্ধরাসহ ৫ শিল্প মালিকের কর ফাঁকি অনুসন্ধানে এনবিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং এদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক সমালচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের আয়কর ফাইলে অনিয়মের বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ব্যাংক লেনদেনের তথ্য, কর নথিতে দেখানো সম্পদের পাশাপাশি বেনামি সম্পদও খোঁজা হবে।
এর আগে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে কর অঞ্চল-১৫। কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে এস আলমকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়েও তদন্ত হবে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্র। এ ছাড়া এনবিআরের এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো আরও পাঁচ শিল্প গ্রুপ।
এনবিআর জানিয়েছে, বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। সিআইসি বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে। পর্যায়ক্রমে এসকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকিকৃত কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং এদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে/উদঘাটনে এনবিআর এর সেন্ট্রল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সিআইসি কর্তৃক পরিচালিত এ বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।