‘গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, খসড়া অধ্যাদেশে গুমকে চলমান অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহারের বিষয়টিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি মানবাধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি স্পষ্ট করেন, এই অনুমোদন কেবল নীতিগত পর্যায়ে হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আরও আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশটি পুনরায় উপস্থাপন করা হবে। অধ্যাদেশ কার্যকর হলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার যথাযথ সুরক্ষা ও প্রতিকার পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।



