মুরগির খামারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে বাড়ছে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বাণিজ্যিক মুরগির খামারের ওপর পরিচালিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির খামারে ব্যাপক হারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা অনুযায়ী, ব্রয়লার খামারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার গড়ে ৭৮ শতাংশ, সোনালি মুরগির খামারে ৬৭ শতাংশ এবং ডিম উৎপাদনকারী লেয়ার খামারে ৪১ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৩৪০টি খামারের মধ্যে ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ খামারে অন্তত একবার হলেও উৎপাদন চক্রে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। জরিপ শুরুর আগের ১৪ দিনের মধ্যে ৬৭ শতাংশ খামারি মুরগিকে এসব ওষুধ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মাংসে ওষুধের অবশিষ্টাংশ থেকে শুরু করে জীবাণুনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা (এএমআর) তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশের সাতটি জেলার ৩৪০টি খামারে চালানো এ সমীক্ষা যৌথভাবে পরিচালনা করেছে— বাংলাদেশে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর,বি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চার্লস স্টুর্ট ইউনিভার্সিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
গবেষকরা বলছেন, খামারিদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা জরুরি। প্রশিক্ষণ ও নিয়মতান্ত্রিক নজরদারি বাড়ানো গেলে প্রাণীর স্বাস্থ্য, মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।



