কারিগরি ত্রুটি মোকাবিলায় বিমানের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিভিন্ন ফ্লাইটে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা-আবুধাবি ফ্লাইটে টয়লেটের ফ্ল্যাশজনিত সমস্যার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া কারিগরি ত্রুটিগুলোর পর্যালোচনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিটি ঘটনার রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড ও অপারেশনাল কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে মূল কারণ নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের অবহেলা বা গাফিলতির প্রমাণ মিললে দায় নির্ধারণ করবে কমিটি, যা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে জনবল ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে, আরও কয়েকজনের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি এবং চট্টগ্রামে অপর একজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে জেদ্দা, দুবাই, মদিনা, দাম্মাম, আবুধাবি ও শারজাহসহ বিভিন্ন আউটস্টেশনে অতিরিক্ত চাকা মজুত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় চাকা সংগ্রহে ইতোমধ্যে ক্রয়াদেশও দেওয়া হয়েছে। জেদ্দায় চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনায় পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস)-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক (প্রকৌশল ও ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) ও প্রধান প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট থেকে রাত্রিকালীন বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ শিফট চালু হয়েছে, যা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করবে। বিমানের ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা চলছে। বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কম্পোনেন্ট সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (সিএসপি) তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। রিকমেন্ডেড স্পেয়ার পার্টস লিস্ট (আরএসপিএল) অনুযায়ী যন্ত্রাংশের মজুত নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। টেইলরড পার্ট প্যাকেজ (টিপিপি) ব্যবস্থাও পর্যালোচনায় রয়েছে।
প্রকৌশলীদের রিকারেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন অ্যাপ্রেন্টিস মেকানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত জনবল বাড়ানো ও নিজস্ব দক্ষতা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



