আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন: কেবিনেট সচিব
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:০০ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে থাকার দাবি করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। একইসঙ্গে সরকারের কারও বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে তা যথাযথ আইনি ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আবদুস সাত্তার বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।’
বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ‘আমরা এ অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আব্দুস সাত্তারের কাছে কোনো অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তা দ্রুত জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
‘যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, আমরা সব অংশীজনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, জনপরিসরের আলোচনা অনুমান নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন’- বিবৃতিতে বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে বলে শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
বিসিএস ৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আট উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
এ আট উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি হয় না বলে সাত্তার দাবি করলেও ওই উপদেষ্টাদের নাম তিনি বলেননি। সূত্র : সারাবাংলা



