অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। কারও বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে তা যথাযথ তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমরা এ অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ ছাড়া এবং ব্যক্তিদের নাম না বলে ঢালাওভাবে অভিযোগ তোলা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।”

এর আগে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও রয়েছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই আট উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি সম্ভব নয়। তবে তিনি কারও নাম প্রকাশ করেননি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আবদুস সাত্তারের কাছে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে তা দ্রুত আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

তিনি বলেন, “যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, জনপরিসরে আলোচনা অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।”