মামলার সমাধান হলে ৩২ হাজার শিক্ষক পদোন্নতি পাবেন: উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি জানান, বর্তমানে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে ৩ হাজার প্রধান শিক্ষককে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে একটি মামলার কারণে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মামলা নিষ্পত্তি হলে এই পদোন্নতি কার্যকর করা হবে।
সোমবার সকালে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলা পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক দুজনই দশম গ্রেডে থাকলে কোনো জটিলতা হবে না। অনেক প্রশাসনিক পদে নিয়ন্ত্রণকারী ও নিয়ন্ত্রিত কর্মকর্তা একই গ্রেডে কাজ করছেন। শিক্ষকদের বেতন কমিশন রয়েছে, যা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে।
কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি স্কুলে অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী পড়ে, যারা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। তাদের মানোন্নয়নই সরকারের লক্ষ্য, শুধু বৃত্তি নয়।
তিনি জানান, স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় ১৫০টি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাবার দেওয়া হবে। পাশাপাশি কক্সবাজার ও বান্দরবনের প্রতিটি উপজেলাতেও এ কার্যক্রম চালু হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার আশা করছেন তিনি।
দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষক ধরে রাখার উপায় খুঁজছে সরকার। উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা কিছুদিন পর শহরে বদলি চান—এ সমস্যাও সমাধান করতে হবে।
পরে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, স্থানীয় সরকার পরিচালক আবু জাফর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসানসহ অনেকে।



