জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের মানবিক সাহসের প্রশংসায় প্রধান উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০১:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই বিপ্লবের দিনগুলোতে আন্দোলনরত আহতদের চিকিৎসা বন্ধে সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল, তবুও জীবন ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দেশের কিছু চিকিৎসক—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৮ জুলাই) শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আহত আন্দোলনকারীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান’-এ এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যুদ্ধকালেও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ হয় না—এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু বাংলাদেশে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের সময় সেই নীতির ব্যতিক্রম দেখা গেছে। আন্দোলনকারীদের গুলি করার পর নিশ্চিত করা হয়েছিল যেন কেউ চিকিৎসা না পায়। চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হুমকি, এমনকি তাদের পরিবারও আতঙ্কে ছিল। সেই সঙ্কটকালেও যারা আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এই জুলাইয়ের প্রকৃত নায়ক।”
তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের রাস্তায় আহত করার পর হাসপাতালে পৌঁছেও চিকিৎসা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসা না পেয়ে স্থায়ীভাবে অন্ধত্ব বরণ করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “তারা শুধু চিকিৎসা দেননি, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন। রক্ত সংকটের মধ্যেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রক্ত সংগ্রহ করেছেন, ওষুধ দিয়েছেন, এমনকি রোগীর নাম গোপন করে ব্যবস্থাপত্র লিখে নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।”
তিনি জানান, অনেক প্রাইভেট চিকিৎসক স্ব-প্রণোদিত হয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সেবা দিয়েছেন। “আপনারা এই জুলাইয়ের সাহস, নিষ্ঠা ও মানবিকতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। আমরা এই সেবাকে কখনোই ভুলব না”—বলেন প্রধান উপদেষ্টা।



