তারিক সিদ্দিক ও পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক ও দুই কন্যার নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দালিলিক মূল্য অনুযায়ী এসব সম্পদের পরিমাণ ৬২ কোটি টাকা হলেও বাস্তব বাজারমূল্য কয়েকশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে,
- তারিক সিদ্দিকের নামে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার
- স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকের নামে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার
- কন্যা নূরিন তাসফিয়ার নামে ৩ কোটি ৩৭ লাখ এবং
- বুশরা সিদ্দিকের নামে ৪ কোটি ৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।
এছাড়া তারিক ও শাহিন সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২২ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে দুদক তারিকের একটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা ফ্রিজ করেছে।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী,
- তারিক সিদ্দিকের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা
- গ্রহণযোগ্য আয় মাত্র ২০ কোটি ৫ লাখ টাকা
- ফলে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বলে চিহ্নিত
- শাহিন সিদ্দিকের সম্পদ ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আয় মাত্র ১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা
- ফলে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ
দুদক মনে করছে, তারিক সিদ্দিক সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একইসঙ্গে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি তিনটি বিমানবন্দরের চার উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তারিক সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করে দুদক। এছাড়া গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে তারিক সিদ্দিক, মহিবুল হক ও বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান চলছে।
দুদক সূত্র জানায়, তাদের তলব করা হলেও কেউ হাজির হননি। অনুসন্ধান শেষে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



