ছবি : সংগৃহীত
ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এবং ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন। ব্যবসায়ী এবং কলকারখানার নিরাপত্তার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তিনি বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এ বিষয়ে এ কে আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (বুধবার ৭ আগস্ট) সব কলকারখানা খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা যাতে আমরা পাই সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে যাচ্ছি। তিনি যেনো সব কারখানার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। পুলিশ কাজ করতে না পারায় আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। নিরাপত্তা না দিলে আমরা কারখানা চালাতে পারবো না। সেজন্য পুলিশের নিরাপত্তা দরকার, কারখানার নিরাপত্তা দরকার। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পরই বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বিশাল এক গাড়ি বহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা।
এক বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের একটি টিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন রয়েছেন। আলোচনা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে সমন্বয়ক নাহিদ হাসান মঙ্গলবার বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভেঙে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংসদ বিলুপ্ত করা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে আগামীকাল (বুধবার ৭ আগস্ট) কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।