বাংলামোটর পুলিশ বক্সে আগুন, বাংলাভিশনের গাড়িসহ কয়েকটি প্রাইভেটকারে হামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
সারাদেশে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের কারফিউর মধ্যে ঢাকার বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড (বাংলামোটর ) দখল করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার (৪ আগস্ট ) সন্ধ্যায় বাংলামোটর পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের গাড়িসহ কয়েকটি প্রাইভেটকারে হামলা করেন তারা।
এদিন সন্ধ্যার আধঘণ্টা আগে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (বাংলামোটর) এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। মাগরিবের আযান দেওয়ার আগেও চলতে থাকে পুলিশের গ্রেনেড নিক্ষেপ। এ সময় বাংলামোটরসহ এর আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
মাগরিবের আযানের আগ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড (বাংলামোটর ) দখলে নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকজন যোগ দেয়। আযানের আগ মুহূর্তে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে কিছু লোকজন বাংলামোটর পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা এ সড়কে যান চলাচলে বাধা দেয়। এ সময় এই সড়কে প্রবেশ করা কয়েকটি প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের একটি গাড়িতে হামলা করেন তারা।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। এসময় বাইরে জনসাধারণের চলাচল এবং উপস্থিতি নিষিদ্ধ হলেও সরকারের নির্বাহী এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা এখনও সড়কেই অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন ১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার অংশ হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। এ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।